রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
পপগুরু আজম খানের জন্মদিন

পপগুরু আজম খানের জন্মদিন

মো: শহিদুল ইসলাম: পপগুরু খ্যাত সংগীতশিল্পী প্রয়াত আজম খানের জন্মদিন।
১৯৫০ সালের এই দিনটিতে ঢাকার আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রায় এক বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১১ সালের ৫ই জুন ৬১ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পপগুরু খ্যাত এদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আজম খান।
২০১০ সালের ১০ই জুলাই তার মুখগহ্বরের ক্যান্সার শনাক্ত করা হয়।
আজম খানের পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। বাবা আফতাব উদ্দিন খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা জোবেদা বেগম সংগীতশিল্পী। মায়ের অনুপ্রেরণায় শৈশব থেকেই সংগীতে নিয়মিত চর্চা।
১৯৬৬ সালে তিনি সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৮ সালে টিঅ্যান্ডটি মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। ষাটের দশকে পশ্চিমা ধাঁচের পপ গানে দেশজ বিষয়ের সংযোজন ও পরিবেশনার স্বতন্ত্র রীতিতে বাংলা গানে নতুন মাত্রা এনেছিলেন তিনি। শ্রোতাদের কাছে তখন এ ধরনের গান ছিল একেবারেই নতুন। এই নতুন ধারার গানের পথিকৃত হিসেবে তিনি শ্রোতাদের কাছে ‘পপসম্রাট’ বা ‘পপগুরু’ হিসেবে সম্মানিত হন।
১৯৭২ সালে ‘উচ্চারণ’ নামের ব্যান্ড দিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। সে বছরই বিটিভিতে প্রচারিত ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ ও ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ এই গান দুটি তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’ এসব গানে গানে তিনি শ্রোতাদের মাতিয়েছেন।
‘এক যুগ’ নামে তার প্রথম অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। সব মিলিয়ে গানের অ্যালবাম ১৭টি।
২০০৩ সালে ‘গডফাদার’ নামের একটি বাংলা চলচ্চিত্রেও আজম খান অভিনয় করেন। এছাড়াও কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেলও হয়েছেন তিনি। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া কিংবদন্তি এ সংগীতশিল্পী। ব্যক্তিগত জীবনে শিল্পী আজম খান ছিলেন অত্যন্ত সহজ-সরল। অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতে ভালবাসতেন তিনি।
১৯৮১ সালে তিনি সাহেদা বেগমকে বিয়ে করেন। তার দুই মেয়ে ইমা খান ও অরণি খান এবং ছেলে হৃদয় খান।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com